১৬ বছর বয়সে মুসলমানির গল্প (পর্ব ২)

 বলে রাখা ভালো আমার মামা মোট ৩ জন বড় মামা ঢাকায় চাকরি করেন।প্রতি সপ্তাহে ছুটিতে বাড়ি চলে আসেন।মামার দুই ছেলে।বড় ছেলে আরিফ ভাই(ছদ্মনাম) চট্টগ্রামে চাকরি করেন এবং বিবাহিত।ওনার স্ত্রী বাড়িতেই থাকেন।মামার মতো আরিফ ভাইও প্রতি সপ্তাহে বাড়ি চলে আসেন।বড় মামী শিক্ষিকা।আমি গ্রামের যে হাইস্কুলে পড়ি ওনি সেখানকার সিনিয়র শিক্ষিকা।মামার ছোট ছেলে রাদিফ(ছদ্মনাম) আমেরিকায় পড়াশোনা করে।আমার মেজো মামা ও ছোটো মামা দুজনেরই যার যার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা রয়েছে গ্রামে।মেঝো মামার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।মেয়ে মিলি(ছদ্মনাম) আমার বয়সী, একসাথেই আমরা ক্লাস টেনে পড়ি ছেলেটা ক্লাস থ্রিতে পড়ে।আর ছোট মামার একটি মেয়ে রয়েছে যে কিনা ক্লাস টুতে পড়ে।উল্লেখ্য আমার মেজো ও ছোটো মামী দুজনেই গৃহিণী।পুরো পরিবারকে আদর্শ একান্নবর্তী পরিবার বলাই যায়।গ্রামের সবচেয়ে সম্মানিত পরিবার তারা। মুসলমানির কথায় ফেরা যাক।মুসলমানির তারিখ মামা ঠিক করলেন ৪ এপ্রিল শুক্রবার।সবকিছু ঠিকঠাক ছিল কিন্তু বিপত্তি বাঁধল যখন জানলাম যে ডাক্তার আমার মুসলমানি করাবেন তার বাবা আমার মুসলমানির আগেরদিন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন।অতএব আমার মুসলমানি আরও এক দফা পিছিয়ে যায়।৪ তারিখ শুক্রবার আমার বড় মামা আর আরিফ ভাই সন্ধ্যার মধ্যে যার যার কর্মস্থলে ফিরে যান।তবে মামা যাবার আগে আমাকে বলেন

মামা: শোন ভাগ্নে আমার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নাই। ৬ তারিখ মুসলমানি করায় লাইবে ডাক্তার।আমার লগে কতা অইছে তুই তৈরি থাক।
আমি সম্মতিসূচক হ্যা বললাম।
ওদিকে ৫ তারিখ সন্ধ্যায় ডাক্তার যিনি বড় মামার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলেন আমার নুনু ফুটানো রয়েছে কিনা।না ফুটানো থাকলে যেন ফুটিয়ে নিই।আমার নুনু অবশ্য আগেই ফুটানো ছিল।ওনি যাওয়ার পর নানী ও আমার তিন মামী এসে যা বললেন তা শুনে মুসলমানির সম্পর্কে আমার লজ্জা ও ভয় আরও বেড়ে গেলো।নানী বললেন নাতি হুন আমরার বাড়ির নিয়ম অইলো মুসলমানির দিন যার মুসলমানি অইবো তারে উঠানে বাড়ির মহিলা মুরুব্বিরা গোসল করাইবো।
আমি শুনে বললাম আচ্ছা। এ আর এমন কি।
আমাকে থামিয়ে বড় মামী বললেন।
বড় মামী: তুমি বুঝো নাই।কাল গোসল তোমাকে ন্যাংটা হয়ে করতে হইবো উঠানে।
মেঝেো মামী বললেন।
মেঝো মামী:আর গোসল করায়া দিমু আমরা মানে তোমার তিন মামী আর তোমার ভাবী।
তাদের এসব কথা শুনে আমি লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম।আমি বললাম এটা আমি পারবো না।আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ভাবী চলে এসে বললেন...
ভাবী: পারোন লাগবো।এটাই বাড়ির নিয়ম।
ছোট মামীও তার কথায় সহমত পোষণ করেন
বড় মামী বললেন
বড় মামী: তোমার আরিফ ভাই আর রাদিফ ভাইরেও এমনে মুরুব্বি মহিলারা মুসলমানির দিন গোসল করাইছিল।এটাই বাড়ির নিয়ম।
আমি বললাম...
আমি: আমার মুসলমানি এমনিতেই দেরিতে হইতেছে আমারটা ওনারার সাথে মেলালে তো চলে না।
ভাবী জিজ্ঞেস করলেন
ভাবী তোমার বয়স কতো?
আমি: ষোলো।
ভাবী: এটা এমন কোনো বয়স না।দুপুর ১২টায় রেডি থাইকো।নাইলে জোর কইরা ন্যাংটা কইরা গোসল করামু।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ